স্বপ্ন শুধু দেখা নয়, সেটাকে বাস্তবে রূপ দেওয়াই সাফল্য।” — এই বিশ্বাসকে হৃদয়ে ধারণ করে আমি আমার পথচলা শুরু করেছি।
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাকে শক্তি হিসেবে নিয়ে আমি একজন উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও সংগঠক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছি। আমার লক্ষ্য— দেশের পুষ্টি ও অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা এবং হাজারো মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা।
📚 শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
আমার শিক্ষা জীবনের শুরু নারায়ণগঞ্জে। মর্গান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ইডেন কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি।
পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ থেকে এলএলবি করেছি। এছাড়াও দেশে ও বিদেশে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি, যা আমার পেশাগত দক্ষতাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
💼 পেশাগত ও সংগঠনমূলক অভিজ্ঞতা
আমি একটি গ্রুপ অফ কোম্পানির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করে আসছি।
সমাজকল্যাণ, সংস্কৃতি, যুব ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন — প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমার অবদান রয়েছে। এই দীর্ঘ পথচলায় আমি নেতৃত্ব, কর্মদক্ষতা ও সেবা মনোভাবকে সমন্বয় করে কাজ করেছি।
🏆 পুরস্কার ও স্বীকৃতি
- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শ্রেষ্ঠ সংগঠক পুরস্কার — ২০০৪
- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী পুরস্কার — ২০০৬
- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের শ্রেষ্ঠ আত্মকর্মী পুরস্কার — ২০১০
- শ্রেষ্ঠ ইয়ুথ অর্গানাইজার পুরস্কার — ২০১২
- আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্ব বাঙালি স্বীকৃতি — ২০১৪
- ইন্দিরা গান্ধী, মাদার তেরেসা, জয়িতা ও নারী উদ্যোক্তা সম্মাননা।
🍄 মাশরুম নিয়ে আমার পথচলা
২০০৩ সালে আমি মাশরুম খাতে কাজ শুরু করি। সেই সময় এই খাতটি ছিল অনেকটাই অচেনা ও সীমিত। ধীরে ধীরে এই শিল্পকে একটি টেকসই খাতে রূপান্তর করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছি।
আমার উদ্যোগ:
- মাশরুম চাষ ও উৎপাদনকারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে।
- মাশরুম রেসিপি উদ্ভাবনের মাধ্যমে এটি সাধারণ মানুষের খাবারের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
- “জমজম মাশরুম ফুড” নামে প্রসেসড মাশরুম পণ্যের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।
- পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসে মাশরুমকে কার্যকর একটি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে মাশরুম খাতে যারা পথ দেখিয়েছেন, আমার নাম সেই অগ্রণীদের তালিকায় রয়েছে — যা আমার জন্য গর্বের ও অনুপ্রেরণার।
🚀 ভবিষ্যৎ লক্ষ্য
আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শুধু উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে এগিয়ে নেওয়া নয়, বরং মাশরুম শিল্পকে বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী একটি অর্থনৈতিক খাতে রূপান্তর করা।
এই লক্ষ্যকে বাস্তবে রূপ দিতে আমি —
- সারা দেশে মাশরুম শিল্পকে সংগঠিত ও সম্প্রসারিত করতে চাই।
- প্রতিটি অঞ্চলে দক্ষ মাশরুম উদ্যোক্তা তৈরি করে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি করতে চাই।
- প্রযুক্তিনির্ভর মাশরুম চাষ ও প্রসেসিং ব্যবস্থার মাধ্যমে উৎপাদন ও মান বাড়াতে চাই।
- আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের মাশরুম পণ্যের ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি গড়ে তুলতে চাই।
- নারী ও তরুণদের সম্পৃক্ত করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।
আমি বিশ্বাস করি, এই শিল্প শুধু একটি খাত নয় — এটি হতে পারে একটি অর্থনৈতিক বিপ্লব।
🌿 আমার দর্শন
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি — “কাজই হলো পরিচয়, সাফল্য কথা বলে নিজেই।”
সমালোচনা ও নেতিবাচকতা আমাকে থামাতে পারে না, বরং আরও এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। আমি বিশ্বাস করি, উদ্যোগ, পরিশ্রম এবং সৎ দৃষ্টিভঙ্গি একজন মানুষকে সমাজের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক করে তুলতে পারে।
আমার লক্ষ্য শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্য নয় — বরং একটি টেকসই, উদ্ভাবনী ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী মাশরুম শিল্প গড়ে তোলা, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।











